সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক: বিশ্বকাপ মাতিয়েছেন ইয়েনি মিনা। ডিফেন্ডার হয়েও করেছেন তিন গোল। তিনটিই হেডে। কলম্বিয়ান এই তারকাকে পেতে মুখিয়ে ইউরোপিয়ান অনেক ক্লাব। বার্সেলোনা কোচ এরনেস্তো ভালভারদের আস্থা অর্জন করতে না পারায় কাতালনরাও হয়তো ছেড়ে দেবে মিনাকে। ভবিষ্যৎ ঠিকানা যেখানেই হোক, বার্সেলোনায় অনুশীলনে লিওনেল মেসি, লুই সুয়ারেসদের সঙ্গ কখনোই ভুলতে পারবেন না এ কলম্বিয়ান। পালমেইরাস থেকে ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন পাউন্ডে গত মৌসুমে যোগ দেওয়ার পরপরই মেসি, সুয়ারেসের সঙ্গে অনুশীলনে বাজি ধরতেন তিনি। ফ্রি কিকের জন্য বাজি ধরতেন ৫০ ইউরো করে। প্রায় প্রতিদিন হারতেও হতো তাঁকে!
রোজ ৫০ ইউরো করে হারলেও ফ্রি কিক শিখে দারুণ খুশি মিনা। সেটা জানালেনও আনন্দ নিয়ে, ‘এখানে আসার পর ভালো একটা পরিবেশ তৈরি করতে বাজি ধরতাম মেসি, সুয়ারেসের সঙ্গে। অনুশীলনে কে ভালো ফ্রি কিক নিতে পারে বাজিটা থাকত এ নিয়ে। অঙ্কটাও বেশি না, ৫০ ইউরো। বুঝতেই পারছেন মেসি, সুয়ারেস জিতত সব সময়।’ ফ্রি কিকে হারলেও শিখেছেন অনেক কিছু। ডি-বক্সের বাইরে থেকে নিলে কোথায় ফ্রি কিক আসতে পারে কিংবা কর্নারই বা কোথায় আসতে পারে, মিনার ধারণা হয়েছিল ভালো। বিশ্বকাপে এ জন্য হয়তো হেড থেকে করেছেন তিন গোল। মেসি, সুয়ারেসকে কিভাবে ভুলবেন মিনা, ‘দেখতে চাইতাম কে সেরাটা দিতে পারে। শুধু দেখার জন্যই করতাম এটা। আর এও জানতাম, প্রতিদিন ৫০ ইউরো করে দিতে হচ্ছে ওদের। সত্যিটা হচ্ছে, ওরা যেখানে খুশি সেখানে ফ্রি কিক ফেলতে পারত! তারা দুজনই দারুণ মানুষ, জাদুকরও বলতে পারেন।’
মিনাকে পেতে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব পাঠিয়েছে কয়েকটি ক্লাব। শেষ পর্যন্ত কোথায় যাচ্ছেন? প্রশ্নের উত্তরটা দিলেন কৌশলে, ‘আমি আসলে জানি না কোথায় যাচ্ছি। তবে শান্ত আছি। বয়স মাত্র ২৩ বছর। অনেক ফুটবল পড়ে আছে আমার সামনে।’ বার্সেলোনা ছাড়াও জার্মানির বরুশিয়া ডর্টমুন্ড আর ইতালির কয়েকটি ক্লাব পেতে চেয়েছিল মিনাকে। শেষ পর্যন্ত বেছে নেন কাতালনদের। কিন্তু এখানে থাকা হচ্ছে না খুব সম্ভবত। এ নিয়ে কোনো অনুতাপ নেই মিনার, ‘সব সময় আমি খেলতে চাই আর উপভোগ করতে চাই। জার্মানি, ইতালি বা ইংল্যান্ডের ক্লাবের বদলে বার্সাকে বেছে নেওয়ায় কোনো অনুতাপ নেই।’ নতুন মৌসুমে নতুন ক্লাবে যেতে হলে অন্তত একটা দিক দিয়ে স্বস্তি পাবেন মিনা, রোজ মেসি-সুয়ারেসকে দিতে হবে না ৫০ ইউরো! মার্কা